সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কয়রায় পথচারি ও ভ্যান চালকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরন চরফ্যাশনে মেঘনা নদীর তীরে মাটি কাটায় অর্থদণ্ড সোনাগাজীতে সিএনজি অটোরিকশা উল্টে চালক নিহত বাগআঁচড়া নাভারণ ও বেনাপোল সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে মহান মে দিবস পালিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন শ্রীমঙ্গলে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম শিবগঞ্জের শাহাবাজ পুর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য আটপাড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ আটপাড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আলী খানের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন
রাজশাহীতে ৯৬ কেন্দ্রে বড় ব্যবধানে এগিয়ে নৌকা

রাজশাহীতে ৯৬ কেন্দ্রে বড় ব্যবধানে এগিয়ে নৌকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী সিটি নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। রাজশাহী সিটির ‌১৫৫ কেন্দ্রের মধ্যে ৯৬ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে ৯৬ হাজার ৬২০ ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়েরুজ্জামান লিটন।

অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার মুরশিদ আলম ৮ হাজার ৬১৮, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন লাঙ্গল প্রতীক ৬ হাজার ২৭৪ টি ভোট এবং জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার গোলাপফুল প্রতীক পেয়েছেন ৭ হাজার ৬২০ ভোট।

নির্বাচনের প্রথমদিকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ভোটার উপস্থিতি। শেষ পর্যন্ত উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৫২ শতাংশ ভোট পড়ে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

এদিকে, রাজশাহীর সিটি নির্বাচন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিবারই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সিটির প্রথম নির্বাচিত মেয়র বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু। ১৯৯৪ সালে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। টানা দুবারের জয়ে তিনি ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে, বুধবারের ভোটে আওয়ামী লীগ জিতলে টানা দুবার এবং সব মিলে তিনবার মেয়রের চেয়ারে বসবেন খায়রুজ্জামান লিটন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে লিটনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী বুলবুল। ২০১৮ সালে খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পান ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ভোট পড়েছিল ৭৮. ৮৬ শতাংশ।

২০১৩ সালে মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন তিনজন। ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে বিএনপির মহানগর যুবদলের আহবায়ক বুলবুল ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান আওয়ামী লীগের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান লিটনকে। ওইবার ভোট পড়েছিল ৭৬.০৯ শতাংশ।

আর ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী বুলবুলের ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোটের বিপরীতে খায়রুজ্জামান লিটন ৯৮ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ফলে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবারই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির প্রার্থীর মধ্যেই ভোটযুদ্ধ হয়েছে।

এবার ২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। এখানে ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ছয়জন। তৃতীয় লিঙ্গের একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীও রয়েছেন।

১৫৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলে। ভোটকক্ষ ছিল ১১৫৩টি। ১৪৬৩টি ক্যামেরার মাধ্যমে রাসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মনিটরিং করা হয়।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com